কাশ্মীরিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে নারাজ ইমরান খান 

কাশ্মীর ইস্যু সমাধান না হলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক নয়  উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা মানে কাশ্মীরের জনগণের লড়াই-সংগ্রামের বিষয়টি উপেক্ষা করা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপ হবে কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।

কাশ্মীরিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে নারাজ ইমরান খান 
ফাইল ছবি

কাশ্মীর ইস্যু সমাধান না হলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক নয় উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা মানে কাশ্মীরের জনগণের লড়াই-সংগ্রামের বিষয়টি উপেক্ষা করা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপ হবে কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।

রোববার সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে ইমরান খান এসব কথা বলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করা মানে কাশ্মীরের নাগরিকদের এত দিনের সংগ্রামকে উপেক্ষা করা এবং সেখানকার এক লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিষয়টিও উপেক্ষা করা। 

ইমরান খান বলেন, ‘ক্ষমতায় বসার প্রথম দিন থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ও কাশ্মীর ইস্যুটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটবে, এটা নিশ্চিত। কিন্তু কাশ্মীরের মানুষের রক্ত বৃথা যাবে। তাই এটি কখনো হবে না। কাশ্মীরের মানুষের রক্তের বিনিময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের চেষ্টা কখনো করা হবে না।’

২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা হয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা হারায়। এর পরপরই ওই এলাকাটিকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসে মোদি সরকার। ভারতীয় সরকারের এমন কাণ্ডে বিক্ষোভ শুরু হয় কাশ্মীরে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে সে সময় আটক করা হয়, বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় সব রকমের যোগাযোগব্যবস্থা। 

এর জবাবে ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থগিত করেছিল ইসলামাবাদ এবং এই ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটতে থাকে।

এদিকে গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি বলেছেন, পারমাণবিক শক্তি–সংবলিত দেশগুলোর উচিত বিরোধপূর্ণ হিমালয় অঞ্চলের অবস্থানকে পরিবর্তিত করতে পারে, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকা।

চলতি বছরের শুরুতে ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আলোচনায় বসেছিলেন বলে খবর বের হয়েছিল।

প্রকৌশলনিউজ/এসএআই